Surprising Benefits of Exercise

Physical Exercise Is Going To Boost Your Cardiovascular Health.

Keeping Smile!

When someone is rude, keep a smile on your face. When you stay on the right road and keep your joy, you take away their power.

Yoga postures to relieve menstrual cramps

Many women suffer abdominal cramps during their menstrual cycles. At times, the cramps are combined with shooting or burning sensations in the lower abdomen. Nausea is also common during periods in females.

Health Benefits of Running

The health benefits of running include weight loss, a youthful appearance, prevention of muscle and bone loss, growth hormone enhancement, the prevention of stroke, diabetes, and hypertension. It also lowers high cholesterol level, improves blood clotting, boosts the immune system, reduces stress, and enhances mood.

Showing posts with label মুখগহবরের সমস্যা. Show all posts
Showing posts with label মুখগহবরের সমস্যা. Show all posts

Friday, October 10, 2014

দাঁত ও মাড়ির যত্নে অব্যর্থ ৫ টি হারবাল উপাদান!

‘দাঁত থাকতে দাঁতের মূল্য বোঝে না’- কথাটা কিন্তু একেবারে মিথ্যা না। অনেকেই দাঁতের সঠিক যত্ন নেন না। ফলে নানা রকম দাঁত ও মাড়ির রোগে আক্রান্ত হন। আর ছুটতে হয় দাঁতের ডাক্তারের কাছে। অকালেই হারাতে হয় দাঁত। অথচ দাঁতের যত্ন নিতে আমাদের চারপাশেই রয়েছে প্রাকৃতিক সব উপাদান। হাত বাড়ালেই যে গুলো পাওয়া যায়। একটু সচেতন হলে আর কিছু নিয়ম মেনে চললেই ভালো থাকবে আপনার দাঁত ও মাড়ি। আর সুস্থ থাকবেন আপনি।



জেনে নিন দাঁত ও মাড়ির রোগে ৫ টি ভেষজ দাওয়াইঃ

 নিমঃ নিমের হার্বাল গুণ আপনার অজানা নয়। নিমের ডাল প্রকৃতির সর্বোৎকৃষ্ট দাঁতন। নিয়মিত নিমের দাঁতনে দাঁত মাজলে দাঁত ও মাড়ি উভয়ই সুস্থ থাকে। রক্ষা পায় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমন থেকে। চার-পাঁচটা নিম পাতা পানিতে সেদ্ধ করে, সেই পানিতে একচিমটি লবণ দিয়ে প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুলকুচি করার অভ্যাস করলে আপনার দাঁত ও মাড়ি থাকবে সুস্থ-সবল।

★ যষ্টিমধুঃ যষ্টিমধুর ফল ও মূলে রয়েছে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান লিকোরিসিডিন আর লিকোরিসোফ্লাভিন। এরা মুখ গহ্বরে জীবাণুর বৃদ্ধি দমন করে এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে দেয় না। বাজারে যষ্টিমধুর গুঁড়া পাওয়া যায়। প্রতিবার দাঁত ব্রাশ করার সময় সামান্য পরিমান যষ্টিমধুর গুঁড়া দিয়ে ব্রাশ করলে দাঁত ও মাড়ির রোগ উপশম হবে।

★ তুলসীঃ তুলসীর রয়েছে প্রচুর ঔষধিগুণ। এন্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান তুলসীতে আছে। দাঁতের প্লাক থেকে জীবাণুর সংক্রমণ রোধ করতে তুলসী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। তুলসীর দুটি পাতা মুখে নিয়ে চিবিয়ে ফেলে দিন। আপনার নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হবে। মাড়ির অসুখেও উপকার পাবেন।

★ পেয়ারা পাতাঃ দাঁত ব্যথায় পেয়ারা পাতা দারুন ওষুধ হিসেবে কাজ করে। মাড়ির রোগেও পেয়ারা পাতা উপশম দেয়। কিছু পেয়ারা পাতা সেদ্ধ করা গরম পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের ব্যথায় আরাম মিলবে।

★ লবঙ্গঃ লবঙ্গ হচ্ছে দাঁত ও মাড়ির যত্নে সবচেয়ে ভালো উপদান। এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। নিঃশ্বাসে সজীবতা আনে। লবঙ্গতে ইউজিনল নামক উপাদান আছে। এন্টিসেপটিকের কাজ করে। মুখের ক্ষত, মাড়ির ঘা দূর করতে লবঙ্গের তুলনা হয় না। মাড়ি বা মুখের ক্ষতে লবঙ্গ তেল মাখলে দ্রুত ক্ষত সেরে যায়। আর একটু লবঙ্গ মুখে রাখলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

[আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য। ধন্যবাদ।]

Thursday, January 16, 2014

মুখে বা ঠোঁটের কোণায় ঘা!

লক্ষণঃ
     ঠোঁট লাল হয়ে ফেটে যায়/ কোনাগুলি ফেঁটে যায়।
     মুখের বা ঠোঁটের দুই কোণায় ঘা হয়/সাদা হয়ে যায়।
     কস পড়ে ও হা করতে কষ্ট হয়।
     জিহ্বায় ঘা হয়, লাল হয়ে ফুলে যায় ও ব্যথা হয় এবং খেতে অসুবিধা হয়।


কারণঃ
     খাবারে ভিটামিন-বি২ বা রাইবোফ্লাভিনের অভাব অথবা লোহার অভাব।
     দুধ, ডিম, ডাল, কলিজা, সিদ্ধ চাউল এবং শাক-সবজি প্রয়োজনীয় পরিমাণে না খাওয়া।

প্রতিরোধ/ প্রতিকারঃ
     প্রচুর পরিমাণে দুধ, ডিম, ডাল এবং শাকসবজি খেতে হবে।
     মুখে বেশি ঘা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন খেতে হবে/আয়রণ খেতে হবে।

 [ আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। ]

Sunday, January 12, 2014

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার সহজ কিছু উপায়!

ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্যের অনেক খানিই নির্ভর করে মুখের স্বাস্থ্যগত অবস্থা তথা দুর্গন্ধমুক্ত মুখগহ্বরের ওপর। কিন্তু দুর্গন্ধ বা দুর্গন্ধযুক্ত শ্বাস অনেক সময়ই বিরক্তিকর সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কেউ কেউ হয়তো এমন অবস্থা সম্পর্কে খুব একটা অবগত থাকেন না। কিছু নিয়মকানুন মেনে চললেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।


# মুখে দুর্গন্ধ কেন হয়ঃ 
১. প্রতিবার খাবার গ্রহণে মুখের ভেতরে খাদ্য আবরণ দাঁতের ফাঁকে, মাড়ির ভেতর জমে দন্তমল সৃষ্টি হয়। পরে তা থেকে মাড়ির প্রদাহ দেখা দেয়।
২. মুখের যেকোনো ধরনের ঘা বা ক্ষত।
৩. আঁকাবাঁকা দাঁত থাকার কারণে খাদ্যকণা ও জীবাণুর অবস্থান।
৪. মুখের ভেতরে ছত্রাক ও ফাঙ্গাস।
৫. মুখের ক্যানসার।৬. ডেন্টাল সিস্ট বা টিউমার।
৭. দুর্ঘটনার কারণে ক্ষত।
এ ছাড়া দেহের অন্যান্য রোগের কারণেও মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে, যেমন: পেপটিক আলসার বা পরিপাকতন্ত্রের রোগ, লিভারের রোগ, গর্ভাবস্থা, কিডনির জটিলতা, বাতজনিত রোগ, ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র, উচ্চ রক্তচাপ, গলা বা পাকস্থলীর ক্যানসার, এইডস, হূদেরাগ, মানসিক রোগ, নাক, কান, গলার রোগ ইত্যাদি।

# মুখে দুর্গন্ধ হলে আপনি যা করবেনঃ
১. পরিষ্কার উন্নতমানের একটি ব্রাশ ও পেস্ট দিয়ে দাঁতের সব কটি অংশ ভেতরে-বাইরে পরিষ্কার করুন (তিন বেলা খাবারের পর)।
২. জিব পরিষ্কারের জন্য জিব ছোলা ব্যবহার করুন। বাজারে স্টেনলেস স্টিল অথবা প্লাস্টিকের জিব ছোলা পাওয়া যায়।
৩. যেকোনো ধরনের মাউথওয়াশ (ক্লোরহেক্সিডিন জাতীয়) দুই চামচ মুখে ৩০ সেকেন্ড রেখে ফেলে দিয়ে আবার অল্প গরম লবণপানিতে কুলকুচি করুন। প্রতিদিন অন্তত দুবার, সকালে ও রাতে খাবারের পর।
৪. অবসর সময়ে মুখের ভেতরে একটি লং বা এলাচির দানা রাখুন।
৫. প্রতিবার আহারের পর (যা কিছু খাবেন, যেমন: বিস্কুট, ফলমূলজাতীয় খাবার) সম্ভব হলে দাঁত ব্রাশ করুন অথবা কুলকুচি করে ফেলুন।
৬. ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্য জর্দা, পান ইত্যাদি ত্যাগ করুন।
৭. দাঁতের ফাঁকে বা মাড়ির ভেতরে অনেক সময় খাদ্যকণা জমে পচন শুরু হয়। ডেন্টাল ফ্লস, টুথ পিকসের (একধরনের জীবাণুমুক্ত শলাকা) সাহায্যে খাদ্যকণাগুলো বের করুন।

[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য]

Saturday, January 4, 2014

দাঁতের কিছু পরিচিত সমস্যার সমাধান এবং প্রয়োজনীয় টিপসঃ

দাঁতের কিছু পরিচিত সমস্যার সমাধানঃ
• মাঢ়ি দিয়ে রক্ত পড়া, মুখে দুর্গন্ধ, কালো বা হলদেটে দাগ যা দাঁত ব্রাশে যায় না তার জন্য স্কেলিং করা
• দাঁতের ছোট গর্ত হওয়া যা ক্যারিজ নামে পরিচিত তার জন্য ফিলিং করা
• দাঁতে জমে থাকা খাদ্যকণা অথবা প্লাক দূর করতে দিনে একবার ডেন্টাল প্লস দিয়ে ক্লিন করা
• নড়বড়ে দাঁত এবং শুধু গোড়া আছে সেগুলো তুলে ফেলা পরবর্তীকালে ডেনচার বা ব্রিজ করা যায়
• দাঁতের মজ্জা পর্যন্ত ক্ষয় হওয়া, শিরশির করা, প্রচ- ব্যথা সে ক্ষেত্রে এক্স-রে করে রুট ক্যানাল নামে আধুনিক চিকিৎসা করে পরবর্তীকালে ওই দাঁতে ক্যাপ করে নেয়া
• আঘাত বা অন্যান্য কারণে দাঁতের স্বাভাবিক রঙ নষ্ট হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে ঝকঝকে করার জন্য ব্লিচিং করা ব্লিচিং পদ্ধতি যেকোনো দাঁতের পাশাপাশি রুট ক্যানাল চিকিৎসা চলছে এমন দাঁতেও সম্ভব
• উঁচু-নিচু, আঁকাবাঁকা দাঁত অর্থোডোন্টিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুন্দর করে তোলা
• মুখগহ্বরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকলে বা বাঁকা হয়ে ওঠা আক্কেল দাঁত থাকলে সেগুলো সার্জিক্যাল অপারেশন করে তোলা
• দাঁতের শার্প অংশ কামড়ে কামড়ে গালে বা জিহ্বায় ক্ষত হলে সে ক্ষেত্রে গ্রাইন্ডিং করা
• তামাকসমৃদ্ধ দ্রব্য যেমনঃ সিগারেট, গুল, জর্দা ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এগুলো মুখে ক্যান্সার ও দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ
• মুখের আর্দ্রতার জন্য প্রচুর পানি পান করা
• দিনে অন্তত দু’বার নরম ব্রাশ দিয়ে ফুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে হালকাভাবে দু-তিন মিনিট দাঁত ব্রাশ করা


দাঁতের উপকারী খাদ্যঃ
• যেসব খাদ্য চিবুতে হয় যেমনঃ ফল, শাকসবজি, শস্যকণা
• ঈধষপরঁস সমৃদ্ধ খাবারঃ দুধ, পনির, দধি ইত্যাদি
• ভিটামিন ডিঃ সামুদ্রিক মাছ, কলিজা, ডিমের কুসুম ইত্যাদি
• আঁশযুক্ত খাদ্য, ভিটামিন সিঃ আমলকী, লেবু, কমলা, টমেটো, পেয়ারা ইত্যাদি

দাঁতের অপকারী খাদ্যঃ
• মিষ্টি ও অন্যান্য আঠালো শর্করাজাতীয় খাদ্য
• প্রচুর পরিমাণে চিনিসমৃদ্ধ চা ও কফি, বিস্কুট, আইসক্রিম, পটেটো চিপস ইত্যাদি

সুস্থ দাঁতের জন্য করণীয়ঃ
• দু-তিন মাস পরপর নতুন টুথব্রাশ ব্যবহার করা
• নিয়মিত হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলকুচি করা
• বছরে অন্তত দু’বার দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া ইত্যাদি

মুখ বা মুখগহ্বরের সমস্যা হওয়া মাত্র অবহেলা না করে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা করে নিলে বড় রকমের বিপদের হাত থেকে বাঁচা যায়

 আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য। 

Monday, November 18, 2013

দাঁতের রোগ দন্তক্ষয় বা Dental Caries !

আজ সাধারণ ভাবে পরিচিত দাঁতের পোকা নিয়ে আলোচনা করবতবে আলোচনার শুরুতেই বলে দিতে চাই দাঁতে পোকা হয় না; হয় দন্তক্ষয়। 


দাঁতের যে রোগটি নিয়ে জনমনে সবচেয়ে ভুল ধারণা আসন গেড়ে বসেছে তার নাম হলো দাঁতের ক্ষয় রোগচিকিৎসকরা একে ডেন্টাল ক্যারিজ বলে থাকেন কিন্তু অনেকেই একে দাঁতের পোকা হিসেবে অভিহিত করেনঅথচ দাঁতে কোনো পোকা হয় না বরং এসিডের কারণে ডেন্টাল ক্যারিজ মানে দাঁতের ক্ষয়রোগ ঘটে থাকে

দন্তক্ষয়ের ফলে দাঁতে যে ধরনের ক্ষুদ্র গর্তের সৃষ্টি হয় সেখান থেকে পোকা বের করে দেখানো হয় অথচ কথিত এই পোকার দাতের ওই ক্ষুদ্র গর্তে মোটেও জায়গা হওয়ার কথা নয়অথচ অনেকেই এই অতি ক্ষুদ্র গর্ত থেকেই এক বা একাধিক পোকা বের করে দেখানআমাদের গা গরম থাকেগরম থাকে আমাদের মুখগহববরওকাজেই আমাদের মুখের মধ্যে যে স্বাভাবিক তাপ থাকে অথবা আমরা যখন গরম কোনো খাবার দাবার বা চা, দুধ ইত্যাদি পান করি সে অবস্হায় ওই ধরনের পোকা বেঁচে থাকতে পারবে না। আলোচনার শুরুতেই তাই স্পষ্ট ভাষায় আমরা বলে দিতে চাই, জীবিত মানুষের দাঁতে কখনো কোনো অবস্থায়ই পোকা হয় নাদাঁতে যা হয় তার নাম দন্তক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ

অতি ধীরে ধীরে অব্যাহত গতিতে এই রোগের বিকাশ হয়কেনো এই রোগ দেখা দেয়? মুখে জমে থাকা খাদ্যদ্রব্য বিশেষ করে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা জাতীয় খাবার মুখগহ্বরের বিভিন্ন রোগজীবাণু ভেংগে ফেলে যাকে বিপাক ক্রিয়া বলা হয়আর এই ক্রিয়ার উপজাত হিসেবে ল্যাকটিক এসিড, এসিটিক এসিড, পাইরোভিক এসিড সহ নানা ধরনের এসিড তৈরি হয় সব ফলে আমাদের মুখের ভেতরে এসিডের আক্রমণ ঘটেএসিডের এই আক্রমণের ফলে দাঁত থেকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাসের মত গুরুত্বপুর্ণ খনিজসমুহ দাঁতের উপরিভাগের অংশ এনামেল থেকে বের হয়ে যায়আর এভাবেই দাঁতের ক্ষয়রোগ দেখা দেয়

দন্তক্ষয় দাঁতের বিভিন্ন জটিলতার প্রারম্ভিক অবস্থা। 

নিচের চার্ট থেকে দন্তক্ষয়ের ধারাবাহিক পরিনাম বোঝা যেতে পারেঃ                 

  প্রাথমিক অবস্থা               →              মাধ্যমিক অবস্থা            →               চূড়ান্ত অবস্থা
   দন্তক্ষয়(Caries)                             দন্তমজ্জা প্রদাহ(Pulpitis)                              পরিদন্ত প্রদাহ(Periodontitis)
                                                                                                                     ↓
                                                                                                            জটিলতা সমুহ
                                                                                                          (Periapical Cyst,
                                                                                                             Osteomyeliti,
                                                                                                               Cellulitis)

প্রাথমিক অবস্থাঃ জীবানু আক্রমনের ফলে দাঁতের গায়ে সৃষ্টি হয় অতি ক্ষুদ্র গর্ত যা শুরুতে দাঁতের উপর একটি কালো দাগ বা ফোটার মত দেখা যায়; যা ক্রমান্বয়ে বড় হতে থাকে। এবং এই গর্ত দাঁতের গভীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং বিভিন্ন উপসর্গ তৈরী করে। প্রাথমিক অবস্থায় Thermal sensitivity বা ঠান্ডা বা গরম পানিতে “শিরশির করা” উপসর্গ তৈরী হয়।

মাধ্যমিক অবস্থাঃ প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা গ্রহণ না করলে Caries ধীরে ধীরে আরো গভীর হয়ে দাঁতের মজ্জায়(Pulp) পৌঁছে যেতে পারে। জীবানুর আক্রমন দাঁতের মজ্জার নরম টিস্যুতে প্রদাহ (Inflamation) তৈরী করে এবং এর ফলে সৃষ্টি হয় অসহনীয় তীব্র ব্যাথা। দাঁতের এই অবস্থাকে বলা হয় Pulpitis বা দন্তমজ্জার প্রদাহ। দাঁত থেকে সৃষ্ট এই ব্যাথা চোয়াল, কান, চোখ বা মাথায় ছড়িয়ে পড়তে বা অনুভূত হতে পারে। এই অবস্থায় শুধু Antibiotic বা ব্যাথার ঔষধে তেমন কোন উপকার হয় না। এই প্রদাহ (Pulpitis) এর ফলে কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিনের ভেতরই দাঁতের মজ্জার রক্তনালী নষ্ট হয়ে যায় এবং মজ্জার স্নায়ুতন্তু (Nerve fiber) ও আন্যান্ন কোষ-কলাও নষ্ট হয়ে যায় বা পঁচে যায়। স্নায়ু-তন্তু নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হঠাৎ দাঁতের ব্যাথা চলে যায়। এ অবস্থায় রোগ ভালো হয়ে গেছে বলে রোগী মনে করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে দাঁতটি মরে (Non vital) যায়।

চূড়ান্ত অবস্থাঃ সময়মতো উপযুক্ত চিকিৎসা করা না হলে মরে যাওয়া (Non vital) দাঁতের পঁচা মজ্জা (Necrosed Pulp) থেকে নির্গত রস ও জীবানু ক্রমে দাঁতের শিকড়ের অগ্রভাগের সুস্থ্য টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে। শিকড়ের অগ্রভাগের টিস্যুতে জীবানুর আক্রমনে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় দাঁত খুবই স্পর্শকাতর থাকে। ফলে কামড় দিলেই ব্যাথা হতে পারে। ব্যাথার তীব্রতা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়। তীব্র প্রদাহের ফলে সেখানে পূঁজ (Peri Apical Abscess) তৈরী হয়। এই পুঁজ দাঁতের ক্ষয়প্রাপ্ত পথে বেড়িয়ে আসতে পারে। তবে এই পথ কোন ভাবে বন্ধ হয়ে গেলে এবং পুঁজ বেড়িয়ে আসতে না পারলে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।

আমরা জানি, রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই শ্রেয়। কাজেই যে কারণে দাঁতের ক্যারিজ বা দন্তক্ষয় রোগ হয়, সে কারণগুলো দূর করতে পারলে এ রোগের হাত থেকে সহজে রক্ষা পাওয়া যায়।


প্রতিরোধের উপায়ঃ

১/ প্রতিবার খাওয়ার পর দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে, বিশেষ করে, রাতে ঘুমানোর আগে টুথ ব্রাশ, পেস্ট ও নাইলনের সুতা দিয়ে দাঁত এবং দাঁতে লেগে থাকা খাদ্য কণা পরিষ্কার করতে হবে।

২/ দাঁত পরিষ্কারের অর্থ শুধু দাঁত পরিষ্কারই বোঝায় না, দাঁত, মাড়ি ও জিহ্বা, দুই দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা খাবারসহ মুখের সর্বত্র লেগে থাকা আঠালো জীবাণুর প্রলেপ দূর করা বোঝায়।

৩/ খাওয়ার পর কেবল কুলকুচি করলে জীবাণু দূর হয় না। যেভাবে যা দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন না কেন, দাঁত এবং দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা খাবার যাতে ভালোভাবে পরিষ্কার হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৪/ ঘন ঘন চিনি-জাতীয় খাদ্য যেমনঃ-  চকলেট, বিস্কুট, আইসক্রিম ইত্যাদি মিষ্টি-জাতীয় খাবার কম খাওয়া কিংবা খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে মুখ পরিষ্কার করা জরুরি।

৫/ রাতে ঘুমের মধ্যে শিশুদের বোতলের দুধ কোনোভাবেই খাওয়ানো উচিত নয়। কোনো বিশেষ কারণে যদি খওয়াতেই হয়, তবে সে ক্ষেত্রে শিশুর দাঁত সঙ্গে সঙ্গে ভেজা পাতলা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

৬/ ছয় মাস পর পর অভিজ্ঞ দন্ত চিকিৎসকের উপদেশ ও পরামর্শ নেওয়া উচিত।

৭/ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় দাঁতের ক্যারিজের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। যেমন—খাবার পানিতে পরিমাণমতো ফ্লুরাইডযুক্ত করা, দাঁতের গায়ে ফ্লুরাইডের দ্রবণ বা জেল লাগিয়ে দেওয়া, ফ্লুরাইডের দ্রবণ দিয়ে কুলি করা, ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা, দাঁতের নাজুক স্থানে আগাম ফ্লুরাইডযুক্ত ফিলিং করিয়ে নেওয়া ইত্যাদি।

৮/ ব্যথার কারণে দাঁত ফিলিং করা সম্ভব না হলে কিংবা ফিলিং করার পর ব্যথা শুরু হলে অথবা দাঁতের শাঁস নষ্ট হয়ে মাড়ি ও চোয়াল ফুলে গেলেও বর্তমানে দাঁতটিকে না তুলে বিশেষ এক আধুনিক চিকিৎসা রুট ক্যানেলের মাধ্যমে দাঁতটি অপারেশন করে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।


আশার কথা হচ্ছে, অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের মতো দাঁতের ক্যারিজ প্রতিরোধের টিকা পরীক্ষাধীন আছে, যা ব্যবহারে রোগীরা অতি সহজেই দন্তক্ষয় বা ক্যারিজের হাত থেকে রক্ষা পাবেন।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য । ধন্যবাদ।

Tuesday, November 5, 2013

ফুসফুস রক্ষায় দুই মিনিট দাঁত ব্রাশ!

ফুসফসকে রোগমুক্ত রাখতে দিনে রাতে দুই মিনিট করে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। 



শুনতে অবাক লাগলেও সম্প্রতি গবেষকরা দেখেছেন, মুখের জীবাণু ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী।

এ ছাড়া শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগের ক্ষেত্রে ধূমপানের ফলে ফুসফুসের ক্যান্সার ও ক্রোনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) হয়।

তবে সম্প্রতিক গবেষণা এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় যে মাড়ির জীবাণুর সিওপিডি রোগের জন্য সরাসরি দায়ী কিনা। কিন্তু এ রোগে আক্রান্তদেরসহ অন্যান্য ফুসফুসের রোগীদের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, মাড়ির জীবাণু ফুসফুসের নানা রোগের জন্য দায়ী। কিন্তু কিভাবে জীবাণুগুলো এ রোগের জন্য দায়ী তা সুস্পষ্টভাবে এখনো জানা না গেলেও তারা একটা ধারণা দিয়েছেন।

তাদের মতে, দাঁতের প্লাকে মাড়িতে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া ফুসফুসে প্রবেশ করে শুধু সিওপিডিই নয়, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত নানা রোগের কারণ।

তাই উচিত প্রতিদিন দুইবার দুই মিনিট করে ব্রাশ করা। সম্ভব হলে প্রতিবার খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য।

Friday, October 25, 2013

মুখ ও দাঁতের যত্নে করণীয়

সুস্থ সবল দেহের জন্য দাঁত ও মাড়ি তথা মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা একান্ত- প্রয়োজন। দাঁত ও মুখের ভেতরের স্বাস্থ্যকে অবহেলা করে নিরোগ জীবন আশা করা যায় না।





মুখ ও দাঁতের যত্নে করণীয় উপদেশ, সবার জন্য সাধারণ উপদেশ :-

০ প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঘুমাবার আগে টুথপেস্ট ও ব্রাশ দিয়ে ওপরের দাঁত ওপর থেকে নিচে এবং নিচের দাঁত নিচ থেকে ওপরের দিকে এবং দাঁতের ভেতর দিকেও মাজবেন।
০ ফ্লুরাইড দেয় যে কোনো টুথপেস্ট দাঁতের জন্য উপকারী। দু-তিন মাস অন্তর টুথপেস্ট ও ব্রান্ড বদলাবেন, কারণ বিভিন্ন পেস্টে বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে।
০ যেসব জায়গা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব নয় সেসব জায়গায় ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করবেন।
০ কয়লা, গুল, টুথ পাউডার, ছাই, মাটি, গাছের ডাল ইত্যাদি ব্যবহার নিষেধ।
০ অত্যধিক পান-সুপারি খাবেন না- এতে দাঁত ক্ষয় হয়ে যায়।
০ বিড়ি-সিগারেট খাবেন না- এতে মুখ ও দাঁতের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
০ বিশেষ বিশেষ খাদ্য যেমন-পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, টফি লজেন্স, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়ার পর উত্তমরূপে দাঁত পরিষ্কার করবেন।
০ ঘুমানোর আগে এবং খাবারের মাঝে কখনো বিস্কুট, কেক, টফি লজেন্স খাবেন না, আর খেলেও ভালো করে দাঁত পরিষ্কার করে ফেলবেন।
০ হাঁ করে ঘুমানোর অভ্যাস হলে তা পরিহার করবেন, কারণ হাঁ করে ঘুমানোর ফলে মুখে ও দাঁতের রোগ বেড়ে যায়।

মা ও শিশুদের জন্য উপদেশ :-

০ মায়ের দুধ শিশুদের শরীর ও দাঁতের আদর্শ খাদ্য। যেসব মা শিশুদেরকে ফিডার দিয়ে দুধপান করান, তারা একই নিপল দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না। ঘুমের মধ্যে শিশুদেরকে কোনোক্রমেই ফিডার দেবেন না; দিলে দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি হবে। দেড় থেকে দুই বছরের শিশুদেরকে ফিডার ছাড়িয়ে পেয়ালায় দুধপান করার অভ্যাস করান।
০ সময়মতো আপনার ছেলে-মেয়েদের দুধের দাঁত ফেলে দেবেন। নচেত স্থায়ী দাঁত বাঁকা- ত্যাড়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
০ শিশু-কিশোর-কিশোরী যদি কোনো কারণে আঙুল চোষার অভ্যস্থ হয় সে ক্ষেত্রে ওই অভ্যাস রোধ করতে হবে। অপরাগতায় ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিন। নতুবা দাঁত আঁকা-বাঁকা, উঁচু নিচু ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। এ ছাড়া মুখের ও চোয়ালের স্বাভাবিক গঠন ব্যাহত ও বেমানান হতে পারে এবং মুখশ্রীর গঠন ব্যাহত হতে পারে।
০ আঁশালো ও শক্ত খাদ্য যেমন-গাজর, পেঁয়ারা, আমড়া, আখ, আনারস, নাশপাতি, আপেল, নারকেল ইত্যাদি দাঁত ও মাঢ়ি সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। উপরন- চোয়ালের স্বাভাবিক গঠনে সহায়তা করে।
০ লেবু, আমলকী, কমলা, টমেটো ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অন্যান্য ভিটামিন থাকে। ভিটামিন সি দাঁতের ও মাড়ির জন্য উপকারী।
০ গর্ভকালীন মায়েরা টেট্রাসাইক্লিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। কারণ এটি শিশুর দাঁতের মারাত্মক ক্ষতি করে। শিশু জন্মানোর পরেও শিশুকে ওই জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক ১২ বছর পর্যন্ত দেবেন না। কারণ এতে স্থায়ী দাঁতের ক্ষতি হবে।

প্রতিরোধ :- 

- দাঁত নষ্ট হয় শুধু আমাদের বদ অভ্যাস এবং অনিয়মিত দাঁত পরিষ্কার করার কারণে। তবে এ কথা সত্য যে, সবারই রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা সমান থাকে না। যারা নিয়মিত দাঁতের যত্ন করেন ও দাঁত নিয়মিত পরীক্ষা করান তারাই ভাগ্যবান।

- বছরে অন্তত: দু’বার একজন অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জনের কাছে মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করানো ভালো। কারণ দন্তক্ষয় বা ডেন্টাল ক্যারিজ প্রাথমিক অবস্থায় নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসা (ফিলিং) করিয়ে দীর্ঘদিন দাঁতটি বাঁচানো সম্ভব। তেমনি মাঢ়ির রোগ (দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়া) ও প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে স্কেলিং করালে দাঁত নড়ে না বা ফেলে দিতে হয় না। 

- যাদের দাঁত ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে তাদের মনে রাখা উচিত দেহের কোনো অংশের যত্ন নেয়ার দরকার বা প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় না।

- অস্বাভাবিক দাঁতকে যে ভাবেই হোক চিকিৎসা করিয়ে টিকিয়ে রাখাই শ্রেয়। আজকাল চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে দন-চিকিৎসার প্রয়োগ ও প্রসার অনেক গুণে বেড়ে গেছে। 

- তাই একটি মূল্যবান দাঁতকে ফেলে দেয়ার আগে একটু ভেবে দেখা দরকার নয় কি?


[আপনাদের সুখী জীবনই আমাদের কাম্য]